ঢাকা, রোববার   ০৭ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সমুদ্রসম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩৭, ৪ জুলাই ২০২৪  

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সমুদ্রসম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সমুদ্রসম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

২০৪১ সালের মধ্যে আধুনিক, উন্নত, মেধাবী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সমুদ্রসম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ওশান প্রসপারিটি-ক্যাটালাইজিং দ্য ব্লু ইকোনমি ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সাসটেইনেবল ব্লু প্রোডাকশন বিষয়ে ব্রেক আউট সেশনে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই উৎপাদন ও আহরণের উপায় খুঁজে বের করে সমুদ্রের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা।

আব্দুর রহমান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে শুধু বিদেশি সাহায্য, অনুদান বা সহযোগিতার ওপর নির্ভর করে আমরা এগোতে পারবো না। আমাদের নিজস্ব সম্পদকে সমৃদ্ধ করতে হবে। আমাদের অর্থনীতিকে একটা দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে। আর এটি করতে হলে আমাদের সামুদ্রিক অর্থনীতিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। সুনীল অর্থনীতির অপার সম্ভাবনার যে বিশাল সমুদ্রসীমা আমাদের রয়েছে সেটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব তো বটেই, আমাদের নিজস্ব অর্থনীতির ভিতও মজবুত করা সম্ভব হবে।

সমুদ্রসম্পদ উন্নয়নের নানাবিধ ক্ষেত্র রয়েছে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রকেন্দ্রিক বাস্তবিক ও প্রায়োগিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে সে অনুযায়ী কাজ করা হলে আমাদের অর্থনীতিতে তা অনেক বড় অবদান রাখতে পারবে।

ব্লু ইকোনমির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটা দেশ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রে অফুরন্ত সম্ভাবনার প্রধান উৎস মাছের বাইরেও রয়েছে জৈবপ্রযুক্তি বা বায়োটেকনোলজি, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজভাঙা শিল্প, সামুদ্রিক জলজ প্রাণীর চাষাবাদ, লবণ উৎপাদন, সামুদ্রিক নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার, তেল-গ্যাস ও অন্যান্য সামুদ্রিক খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান, সমুদ্রবন্দর ও সমুদ্র পর্যটন।

তিনি বলেন, এক্ষেত্র বা উপাদানগুলোকে আমাদের ডেভেলপ করতে হবে। মাছ ব্লু ইকোনোমির বড় ক্ষেত্র। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদকে বড় সম্পদে তখনই পরিণত করা যাবে যখন আমরা এই সম্পদকে যথোপযুক্ত আহরণ ও ব্যবহার করতে পারবো।

মন্ত্রী বলেন, সামুদ্রিক মাছ আহরণের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সমুদ্রে মাছের অবস্থান, গতিবিধি, মাছের স্টক এসব বিষয় নিয়ে গবেষণা জোরদার করতে হবে। এছাড়া সমুদ্রে মাছের পরিমাণ বা অবস্থান জানার উদ্দেশ্যে জরিপ চালাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চায়না থেকে অনুসন্ধানী জাহাজ আনার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছেন। এসব জাহাজ শিগগির দেশে আসবে। এর ফলে সমুদ্রে মাছের অবস্থান, মাছের সংরক্ষণ এবং মৎস্য সম্পদকে কাজে লাগিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে মজবুত করা সম্ভব হবে।

যারা সামুদ্রসম্পদ নিয়ে গবেষণা করেন, সম্ভাবনার পথ উন্মুক্ত করেন তাদের আশ্বস্ত করে মন্ত্রী বলেন, এসব বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় রাজনৈতিকভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ব্লু ইকোনমির উন্নয়নের ক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হবে।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কি-নোট স্পিকার হিসেবে চীনের সাংহাই ওশান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক চেনহং লি, প্রফেসর কিউ জিন, ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশানোগ্রাফি প্রধান বিজ্ঞানী ড. রামাইয়া নাগাপ্পা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র সায়েনটিস্ট ড. মোস্তাক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়