ঢাকা, রোববার   ০৭ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

সৌর বিদ্যুতে কমবে সেচ খরচ, লাভবান হবেন সবজি চাষী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫১, ৪ জুলাই ২০২৪  

সৌর বিদ্যুতে কমবে সেচ খরচ, লাভবান হবেন সবজি চাষী

সৌর বিদ্যুতে কমবে সেচ খরচ, লাভবান হবেন সবজি চাষী

দেশের মোট সবজির চাহিদার অনেকটাই সরবরাহ করা হয় যশোর জেলার কৃষি খাত থেকে। এ জেলার কৃষকরা ধানের পাশাপাশি সারা বছরই বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করেন। ফুল চাষেও প্রধান যশোর জেলা। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কৃষি ফসলের মধ্যে বিশেষ করে ধান চাষে সেচ প্রকল্প নিয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। কৃষি জমিতে সেচ সুবিধার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে যশোরের সবজি খাত। তবে এবার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যশোরের কৃষকদের সবজি চাষে সেচ প্রকল্পের আওতায় সেচ পাম্প নিয়ে এগিয়ে এসেছে।
হেইফার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নামে একটি সংস্থার সহযোগিতায় জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন যশোর সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ‘জলবায়ুবান্ধব সবজি ও ফুলের ভ্যালু চেইন (বিডি-১৭)’ নামক সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে সদর উপজেলার কাশিমপুর, কচুয়া ও নওয়াপাড়া ইউনিয়নে মোট ৪টি পরিবেশবান্ধব সৌরশক্তি চালিত সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছে যশোর কৃষি বিভাগ।

স্থাপিত সেচ পাম্পগুলো স্থানীয় নারী সমবায় সমিতির মাধ্যমে স্বল্প খরচে কৃষি উৎপাদনে সেচ কাজে পরিচালিত হবে। প্রকল্পের নির্মাণ প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাদিক জানান, সৌর বিদ্যুৎচালিত ৪টি সেচ পাম্পের একেকটির ক্ষমতা ৫ হর্সপাওয়ার এবং পানির ডেলিভারি ৩ ইঞ্চি। সেচ পাম্প থেকে ঘণ্টায় ৩৬ হাজার লিটার  পানি উঠবে, যা প্রায় ২০ থেকে ২৫ বিঘা জমিতে পানি সরবরাহ করতে পারবে।

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের পরিচালক (কর্মসূচি) কাজী মাজেদ নেওয়াজ বলেন, যশোর অঞ্চলের সবজি চাষ ও বিপণনে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে এ অঞ্চলে সবজি চাষিদের জন্য। 
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, যশোরের কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করে থাকেন। যা যশোরের চাহিদা মিটিয়েও বাইরের জেলাগুলোতে সরবরাহ করা হয়। এই সবজি চাষে কৃষকের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ কৃষি জমিতে সেচের পানির স্বল্পতা। এই সমস্যা দূর করতে হেইফার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন নামে দুটি সংস্থা এগিয়ে এসেছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়