রুমিন ফারহানা কোথাও নেই কেন?
নিউজ ডেস্ক
![রুমিন ফারহানা কোথাও নেই কেন? রুমিন ফারহানা কোথাও নেই কেন?](https://www.mymensingheralo.com/media/imgAll/2020Aprila/New-Project---2024-06-28T103700013-2406280438.jpg)
রুমিন ফারহানা কোথাও নেই কেন?
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপিতে যে বড় ধরনের রদবদল গুলো হচ্ছে সেই রদবদলে রুমিন ফারহানার নাম কোথাও নেই। তার পদোন্নতি হয়নি। তিনি কোন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেও স্থান পাননি। রুমিন ফারহানা কোথাও নেই কেন—এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে যেমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তেমনি রাজনৈতিক অঙ্গনেও সৃষ্টি হয়েছে রহস্যের ধুম্রজাল। যে রুমিন ফারহানা ক দিন আগেও প্রচণ্ড ক্ষমতাবান ছিলেন, প্রভাবশালী ছিলেন, বিএনপির অন্যতম নীতিনির্ধারকে পরিণত হয়েছিলেন অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এখন কোথাও নেই কেন—এ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কিছু বিষয় নিয়ে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সঙ্গে রুমিন ফারহানার মতবিরোধ হওয়ার কারণেই রুমিন ফারহানা কোথাও নেই। উল্লেখ্য যে, ভাষা সৈনিক অলি আহাদের কন্যা রুমিন ফারহানা টকশোতে একজন পরিচিত মুখ। প্রতিদিনই তিনি টকশোতে সরকারের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ভাষায় কথাবার্তা বলতেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত কোটা এমপি হওয়ার পর সেখানে বিএনপির পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন। কূটনৈতিক অঙ্গনেও তিনি পরিচিত মুখ ছিলেন। বিভিন্ন কূটনৈতিক মহলে তার যাতায়াত ছিল এবং তাদের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন হিসেবে তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই পরিচিতি লাভ করেছিলেন। সেই রুমিন ফারহানাকে কেন বাদ দেওয়া হল, বিএনপির সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে তিনি কেন এখন কোথাও নেই?
রুমিন ফারহানা কেন কোথাওনেই—এই উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। রুমিন ফারহানার নির্বাচনী এলাকার একজন বিএনপি নেতা এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন এবং তিনি লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার সহকারী হিসাবে সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন। তার মাধ্যমে তারেক রুমিন ফারহানার সম্বন্ধে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, রুমিন ফারহানা ২৮ অক্টোবরের পর গোপনে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং তাদের সাথে বৈঠক করেছিলেন। এছাড়াও তারেক জিয়ার কাছে খবর এসেছে যে, রুমিন ফারহানা বিভিন্ন কূটনীতিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেছিলেন এবং বিএনপিকে নির্বাচনে আনা যায় কি না সে ব্যাপারে শলা পরামর্শ দিয়েছিলেন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে, দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি কূটনীতিক অঙ্গনে কথা বলেছেন- এমন তথ্যপ্রমাণ তারেকের হাতে রয়েছে।
অন্য একটি সূত্র বলছে, রুমিন ফারহানা ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন একজন ব্যক্তি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে বিভিন্ন জায়গায় লাইম লাইটে এনে ছিলেন। ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কারণে তিনি বিভিন্ন দূতাবাস এবং কূটনৈতিকপাড়ায় যেতেন এবং সেখানে তিনি দলের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অবস্থান যেহেতু এখন টলটলয়মান সেহেতু রুমিন ফারহানা এখন কোথাও জায়গা পাচ্ছেন না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে রুমিন ফারহানার সাথে সরকারের গোপন যোগাযোগের তথ্য পেয়েছে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। আর এই সমস্ত যাচাই বাছাই করে সত্যতা পাওয়ার প্রেক্ষিতেই রুমিন ফারহানাকে দলের সব জায়গা থেকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে। আর সে কারণেই এখন রুমিন ফারহানা কোথাও নেই বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা।
- মানুষ গতকাল বিএনপির ভয়ংকর চেহারা দেখেছে: প্রধানমন্ত্রী
- প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আগমন নিয়ে বেড়েছে গুজবকারীদের ষড়যন্ত্র
- বিএনপি জনগণের কাছে যায় না, দূতাবাসে ঘুরে বেড়ায় : তথ্যমন্ত্রী
- প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহে নামছে আওয়ামী যুবলীগ
- বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ায়: শেখ হাসিনা
- ভোট চুরি জিয়াউর রহমানই শুরু করেছে: প্রধানমন্ত্রী
- আবার জঙ্গি হামলা করতে কাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিএনপি?
- উন্নয়নের পথে বাধা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিন: আব্দুল হাই আকন্দ - প্রথম আলো বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ উদ্ধারে কাজ করছে : সেতুমন্ত্রী