মৌলবাদ, ধর্মীয় উসকানি ও সংখ্যালঘু নির্যাতন করে কী পেতে চায় বিএনপি-জামায়াত?

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ১ জুলাই ২০২৪

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা আর মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকেই শুরু হয়েছিলো আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম। আর সেই সংগ্রামই একটু একটু করে এগিয়েছিলো এক সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামে। জাতির পিতার নেতৃত্বে সেই সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি সারা বিশ্বের বুকে মাথা তুলে জানান দিয়েছিলো তার নব জাগরণের কথা। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো দেশের মানুষের জন্য সেই স্বাধীনতা কতটুকু রক্ষা করতে পেরেছে সেই প্রশ্নই বারবার ঘুরে ফিরে আসছে।

বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতের রাজনৈতিক উত্থানের সাথে সাথেই এদেশের মানুষের সম্প্রীতি ও ধর্ম নিরপেক্ষতায় ভাটা পড়েছে। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়েই মূলত এই দলগুলোর সৃষ্টি ও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়েছে। যারা তাদের জন্মলগ্ন থেকেই দেশের মানুষের ধর্মান্ধতার সুযোগ নিয়ে তাদের মধ্যে মৌলবাদ প্রচার করেছে। কট্টর ধর্মীয় মতবাদের মাধ্যমে সমাজে উসকানি দিয়েছে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়েছে। আর এগুলোই মূলত বিএনপি-জাময়াতের রাজনীতির মূলধারা।

তারা যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই এদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর চালিয়েছে অমানবিক নির্যাতন। হত্যা, ধর্ষণ বসত বাড়ি দখল করে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে বহু সংখ্যালঘু পরিবারকে। তাদের নির্যাতনের তালিকা থেকে বাদ যায়নি বৃদ্ধ থেকে শিশু কেউই। তাদের কারণেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন শিারোনাম হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। মূলত এটাই তাদের আসল চেহারা। মানুষের অধিকার, ধর্মীয় সম্প্রীতিকে বিশ্বাসই করেনা তারা।

দেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলমান হওয়ার কারণে তারা মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করেই তাদের রাজনীতি করে। আর স্পর্শকাতর ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে বারবার তারা উসকানিমূলক আচরণের মাধ্যমে সমাজে বিদ্বেষ ও সহিংসতা ছড়িয়ে যাচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে এমন রাজনৈতিক দল প্রধান অন্তরায়। আর তাই এমন বিদ্বেষপূর্ণ রাজনৈতিক মনোভাব থেকে সবাইকেই মুক্ত থাকতে হবে এবং বিএনপি-জামায়াতের মত দলকে পরিহার করতে হবে।