ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হবে ইংরেজি বছরে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৯, ১ জুলাই ২০২৪  

ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হবে ইংরেজি বছরে

ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হবে ইংরেজি বছরে

বিদ্যমান বাংলা সনের পরিবর্তে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হবে অর্থবছরের (জুলাই-জুন) হিসাবে। আজ সোমবার থেকে ভূমি উন্নয়ন করের নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এত দিন ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল ছিল বাংলা সনের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত। এ পরিবর্তনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন করে আদায় ব্যবস্থাপনা জাতীয় অর্থবছরের সাথে সমন্বিত করা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় আশা করছে, জাতীয় অর্থবছরের সাথে সমন্বয়ের ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভূমি মালিকের ভূমি উন্নয়ন কর দেয়া সম্পর্কিত হিসাব ব্যবস্থাপনা আরো সহজ ও গতিশীল হবে। এ ছাড়া জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমি উন্নয়ন করের প্রভাব নির্ণয় আরো বেশি সুবিধাজনক হবে।
ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এক অনুষ্ঠানে বলেন, এই নতুন পদ্ধতি আমাদের দেশের ভূমি রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করবে এবং রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা আনবে। বর্তমান পরিবর্তনটি ভূমি উন্নয়ন করের আদায় প্রক্রিয়াকে অধিকতর সুষম, স্বচ্ছ ও কার্যকর করবে। গত বছরের পয়লা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল ২০২৩) থেকে দেশব্যাপী ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে আদায় করা হচ্ছে।

ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, মুঘল বাংলায় ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রথম বাংলা সন গণনা করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে খাজনা আদায়ে এই গণনা কার্যকর শুরু হয়েছিল ১৫৫৬ সাল থেকে (পূর্বের তারিখে দেখিয়ে)। কালক্রমে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমল হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশেও বাংলা সনের হিসেবেই জমির খাজনা তথা ভূমি কর নেয়া হতো। ১৫৮৪ প্রায়োগিক সাল ধরলে সময়ের প্রয়োজনে প্রায় ৪৪০ বছর পর ভূমি কর আদায়ের সময় পরিবর্তন হচ্ছে।
ভূমি উন্নয়ন কর হালসনের হিসাব অনুযায়ী পরিশোধ করতে হয়। অর্থাৎ প্রতি বছরের ভূমি উন্নয়ন কর ওই বছরের ৩০ জুনের মধ্যে জরিমানা ছাড়া আদায় করা যাবে। কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি বা পরিবারভিত্তিক কৃষি জমির মোট পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না। তবে এই জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার বেশি হলে সম্পূর্ণ কৃষি ভূমির ওপর ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে।
অকৃষি ভূমিকে ব্যবহারভিত্তিক বাণিজ্যিক, শিল্প এবং আবাসিক ও অন্যান্য শ্রেণীতে বিভাজন করে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন কর হার নির্ধারণ ও পুনর্নির্ধারণ করে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করে থাকে। এ ছাড়া সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেকোনো ব্যক্তি বা যেকোনো শ্রেণীর ব্যক্তিরা বা কোনো সংস্থাকে ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত শ্রেণী ও পরিমাপের কৃষি বা অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ করতে পারবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়