ঢাকা, সোমবার   ২৪ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১০ ১৪৩১

চট্টগ্রামের অর্ধশত গ্রামে ঈদুল আজহা পালিত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ১৬ জুন ২০২৪  

চট্টগ্রামের অর্ধশত গ্রামে ঈদুল আজহা পালিত

চট্টগ্রামের অর্ধশত গ্রামে ঈদুল আজহা পালিত

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোববার দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে উদযাপিত হয়েছে ঈদুল আজহা। সাতকানিয়ার মীর্জাখীল দরবার শরিফ ও চন্দনাইশের জাহাঁগিরীয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফের অনুসারীরা এ ঈদুল আজহা উদযাপন করেন।জাহাঁগিরীয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফে সৈয়্যদ মোহাম্মদ আলীর ইমামতিতে সকাল ৮টায় প্রথম জামাত ও দরবারের শাহজাদা মাওলানা মোহাম্মদ মনজুর আলীর ইমামতিতে সাড়ে ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

অন্যদিকে, মীর্জাখীল দরবার শরিফে সৈয়্যদ মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ শাহ’র জাহাঁগিরী (নুরুল আরেফিন) ইমামতিতে সকাল সাড়ে ৯টায় প্রথম এবং সৈয়্যদ ড. মাওলানা মকছুদুর রহমান জাহাঁগিরী ইমামতিতে ১০টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মীর্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীদের মতে, চার মাযহাবের সমন্বিত ‘আল ফিকাহ আলা মাযাহিবিল আরবায়া’ গ্রন্থ অনুযায়ী পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সব স্থানেই ঈদ উদযাপনের বিধি রয়েছে। সে হিসেবে মীর্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা ২শ’ বছরের বেশি সময় ধরে আগাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছে। এছাড়া জাহাঁগিরিয়া মমতাজিয়া দরবারের অনুসারীরাও একইভাবে ঈদ উদযাপন করে আসছে।

সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরিফের সৈয়্যদ মাওলানা আবদুর রহমান শাহ জাহাঁগিরী ও চন্দনাইশ কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের শাহজাদা মাওলানা মোহাম্মদ মতি মিয়া মনসুর জানান, হানাফি মাযহাবের অনুসারী হিসেবে সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনা শরিফে তথা আরব বিশ্বে চাঁদ দেখার সঙ্গে মিল রেখে সুফি সাধক মাওলানা মোখলেসুর রহমানের দেখানো পথ অনুসরণ করে ধর্মীয় সকল পর্ব যেমন- রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করা হচ্ছে। দুইশ’ বছরের বেশি সময় ধরে এটি অনুসরণ করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের যেসব গ্রামে আজ ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে সেগুলো হলো- সাতকানিয়া উপজেলার মীর্জাখীল, চরতি, সুইপুর, গাটিয়াডাঙ্গা ও কেরাণীহাট, পটিয়া উপজেলার কালারপোল, হাইদগাঁও, মল্লপাড়া ও বাহুলী, চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর, গাছবাড়িয়া, হারালা, বাইনজুড়ী, কানাইমাদারি ও ঢেমশা, আনোয়ারা উপজেলার তৈলারদ্বীপ, বরুমছড়া, বারখাইন, সরকারহাট, গহিরা ও বারশত, বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, পূর্ব গোমদণ্ডী ও পশ্চিম কধুরখীল, বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, পুঁইছড়ি ও ডোমার এবং লোহাগাড়া উপজেলার ধর্মপুর ও কলাউজান।

এছাড়াও বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারী রয়েছেন। তারাও আজ ঈদ উদযাপন করেন।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়