গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে বিষাদের ঈদ
নিউজ ডেস্ক
![গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে বিষাদের ঈদ গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে বিষাদের ঈদ](https://www.mymensingheralo.com/media/imgAll/2020Aprila/New-Project---2024-06-15T211111634-2406151511.jpg)
গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে বিষাদের ঈদ
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠী, খোলা আকাশের নিচে বিশ্বের বৃহত্তম কারাগারখ্যাত গাজার ফিলিস্তিনিরা। সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য ঈদ আনন্দ নিয়ে এলেও গাজাবাসীর দিনটি কাটবে স্বজন হারানোর বেদনা আর ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে।
দেশটিতে ইসরায়েলি হামলায় বাতাসে ভাসছে লাশের গন্ধ। বিধ্বস্ত কংক্রিটের ভাঁজে ভাঁজে রক্তের ছাপ। ধূলিসাৎ হয়ে গেছে মসজিদ, পার্ক, ঐতিহাসিক ভবনসহ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় এবার বিষণ্ন ঈদ গাজায়। বাড়িতে খাবার নেই। নতুন পোশাক নেই। জীবনেরও কোনো নিয়শ্চয়তা নেই। ইসরাইলের অমানবীয় অত্যাচারে আনন্দহীন ঈদ কাটাবে গাজাবাসী।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার তথ্যানুযায়ী, অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আটকা পড়েছেন। তাদের কাছে একদিকে যেমন নেই বিশুদ্ধ পানি তেমনি নেই স্যানিটেশনের ব্যবস্থা। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপ-নির্বাহী পরিচালক কার্ল স্কাউ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ অবস্থায় ইতালিতে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে গাজায় বাধাহীনভাবে কাজ করতে জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক শরণার্থী সংস্থাকে অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে আট মাসের বেশি সময় ধরে। প্রতিদিনই ঘটছে প্রাণহানি। ত্রাণ পেতে ইসরায়েলি বাঁধায় এক বেলা খাবার জোগার করাই কঠিন। আর নিয়ম করে যেমন সূর্য উঠে এবং অস্ত যায়, তেমনি নিয়ম করে তাদের জীবনেও বারবার নির্মমতা নেমে আসে। দশকের পর দশক ধরে তা চলছে। এক সময় তাদের জমি ছিল, মাথার উপরে ছাদ ছিল। সব দখল হয়ে গেছে। সর্বশেষ আশ্রয়টুকুও দখলের পথে।
গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত মোট ৩৭ হাজার ২৬৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৫ হাজার ১০৩ জন।
ধ্বংসাত্মক এ হামলা বন্ধের জন্য সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে তিন ধাপের একটি প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যা এরই মধ্যে জাতিসংঘে পাস হয়েছে। কিন্তু এই প্রস্তাব কার্যকরের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
ইসরায়েল ও হামাসের পক্ষ থেকে এখনো বিভিন্ন শর্ত দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা থেকে হামাস উৎখাতে বদ্ধপরিকর। অন্যদিকে হামাসের দাবি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার। ফলে জটিল হয়েছে পড়েছে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়টি।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বাইডেন বলেছেন, গাজায় খুব শিগগির যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি। তবে তিনি এখনো আশা ছাড়েননি।
এর ফলে পৃথিবীর একটি নির্দয়-নিষ্ঠুর সময় অতিক্রম করছে গাজাবাসী। এমন সময় আগে কখনো আসেনি তা বলা যাবে না। বেশ কয়েকবার এসেছে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, হিটলারের ইহুদি নিধন, ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম অধ্যায়। তবে, এবারের নিষ্ঠুরতা-নির্মমতা ও বর্বরতা একটু ব্যতিক্রম। সমগ্র পৃথিবী এবারের বর্বরতা-নিষ্ঠুরতাকে সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে, যা সম্ভবত কখনো এমনভাবে দৃশ্যমান হয়নি।
- এবারের হজে হাজিদের জন্য থাকছে উড়ন্ত ট্যাক্সি
- মিশরে চার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব
- হেঁচকা টানে শ্বশুরের অণ্ডকোষ ছিড়লো ছেলের বউ!
- মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো সোনার খণ্ড
- শিম্পাঞ্জির ছানা চুরি করে মুক্তিপণ দাবি!
- নগ্ন ছবি ও ভিডিও ছড়ানোর কারণে মিয়ানমারের মডেলের জেল
- সিঙ্গাপুরে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত
- কোভিডের চাইতেও ভয়াবহ ভাইরাস তৈরি করছে চীন!
- বিশ্ব সংকটের মধ্যেই আরো উত্তেজনা সৃষ্টি করল উত্তর কোরিয়া
- ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে ইতিহাস তৈরি করল উত্তর কোরিয়া